আমরা পর্যটনের উন্নয়নে কৃষি কে সম্পৃক্ত করতে চাই। কারণ একদিকে যেমন পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ জড়িত তেমনি দেশের কৃষিজ পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণে পর্যটন ভিত্তিক এলাকাগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কৃষি ভিত্তিক পর্যটন বাংলাদেশে একটি নতুন ধারণা মনে হলেও সারা পৃথিবীতে এর বহুল ব্যবহার রয়েছে। বিভিন্ন দেশে পর্যটনের পাশাপাশি কৃষি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সমারহ দেখা যায়।এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নিউজিল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, পর্তুগাল, নেপাল, জ্যামাইকা, উগান্ডা, আয়ারল্যান্ড, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি।
লাক্সারী বিসি হোম, কানাডা
কানাডার নিউটন ক্রস রোডে অবস্থিত এই অপার সৌন্দর্য্যমন্ডিত কৃষি নির্ভর পর্যটন কেন্দ্রটি কৃষকদের জীবন যাপন সহ পর্যটকদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করেছে। এখানে একদিকে পর্যটকরা যেমন ঘুরতে পারবে তেমনি টাটকা শাক-সব্জি খেতে পারবে।
কৃষক মার্কেট, জ্যামাইকা
জ্যামাইকাতে কৃষকদের সুবিধার্থে পণ্য উৎপাদনের সাথে সাথে বাজারজাতকরণে এই মার্কেট। পর্যটকদের সুবিধার জন্য পর্যটন কেন্দ্রের পাশেই এর অবস্থান।
কারানগ্রেজো, কেবুমেন, সেন্ট্রাল জাভা, ইন্দোনেশিয়া
ইমানিয়ান গুনাওয়ান নিজের এগ্রো ইকো টুরিজম প্রজেক্টে কাজ করছে।
এ্রগ্রোে ইকো ট্যুরিজম, কুইবেক
সেন্টার দো কুইবেক নামের এই এগ্রো ইকো ট্যুরিজমে ভেড়া সহ বিভিন্ন গবাদী পশু পালন হয়ে থাকে। একই সাথে পর্যটকদের জন্য রয়েছে থাকার সুব্যবস্থা।
হার্দেদ দঁ বারাদাস দঁসেরা, পর্তুগাল
প্রায় ৮০০ হেক্টর জায়গা জুড়ে এই এগ্রো ইকো পর্যটন সেন্টারটি পর্তুগালের লিসবন থেকে এক ঘন্টা দূরত্বে গ্রান্ডোলা হিলে অবস্থিত। পর্যটন সেবাদানের পাশাপাশি এটি একটি ভেড়া উৎপাদন ও প্রজনন কেন্দ্র।
টুবাগুয়া ইকো রিসোর্ট , ডোমিনকান রিপাবলিক
টুবাগুয়া ইকো রিসোর্টের একটি লাক্সারিয়াস রুম।
এভাবে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এগ্রো ইকো পর্যটন এর ধারণা ও ব্যবহার। বাংলাদেশেও বেশ কিছু ইকো ভিত্তিক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। তবে সোবার এ্রগ্রো এন্ড ইকো ইন্ডাস্ট্রিজ কৃষি ভিত্তিক পর্যটনের উন্নয়নে কাজ করছে। যা বাংলাদেশের অপরুপ সৌন্দর্য্যের সমারোহ বান্দরবানের লামায় অবস্থিত। এটি শুধুমাত্র পর্যটন কেন্দ্র বা কৃষি ক্ষেত্র সম্প্রসারণ নয়, এটি কৃষিতে জনসাধারণের বিনিয়োগ ও আগ্রহ বৃদ্ধির একটি কার্যক্রম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন