কৃষি নির্ভর দেশ বাংলাদেশ। আমাদের আবাদযোগ্য জমিতে উন্নত সার, বীজ ও জৈবকীটনাশক এর পাশাপাশি উন্নত কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। সমতলভূমিতে কৃষির ফলন বিস্তৃতির সাথে সাথে বাংলাদেশের চট্রগ্রাম বিভাগের উঁচু জমিতেও কৃষি ফলনের বিস্তার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণে একযোগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন বিএআরসি, ইউএনডিপি, এএফও সহযোগীতা করছে।
কৃষিশিল্পের সম্প্রসারণে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। কৃষিপণ্য, বাজার ব্যবস্থা, যাতায়াত ও কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার।
সংক্ষিপ্ত দিকগুলো বিস্তারিতভাবে দেখলে নিচের বিষয়গুলো প্রতীয়মান হয়-
- যে পণ্যটি উৎপাদিত হবে সেটির বীজ বা চারা কৃষকের কোছে সুলভ মূল্যে ও সময়মত পৌঁছানো।
- কৃষককে সঠিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ ও প্রযুক্তির ব্যবহারে শিক্ষা প্রদান।
- উৎপাদিত পণ্যের বাজার সহজতর ও সুলভ ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। প্রয়োজনে দেশের বাহিরেও রপ্তানী করার সুব্যবস্থা করা।
- উৎপাদিত পণ্যের ন্যয্যমূল্য কৃষকের হাতে পৌঁছানো।
- পণ্য ও অন্যান্য কৃষিসামগ্রী প্রয়োজনের সময় পৌঁছাতে পারার জন্য সুষ্ঠু যোগাযোগ মাধ্যম ও পরিবহনের সুযোগ তৈরি করা।
- বাজার থেকে উৎপাদিত কৃষি পণ্য টাটকা ও ভেজাল মুক্ত ভাবে ক্রেতার কাছে পৌঁছানো ও রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার বন্ধ করার ব্যাপারে পর্যাপ্ত মনিটরিং ও আইনানুগ ব্যবস্থাপনা।
- কৃষি উৎপাদন থেকে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত তৈরিকৃত বর্জ্য সঠিক নিষ্কাশন ও পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।
কৃষি একদিকে যেমন একটি লাভজনক ক্ষেত্র তেমনি এর উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশে কৃষি পণ্য রপ্তানী করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটানো সম্ভব। এছাড়াও পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় কৃষির ভূমিকা অপরিসীম। আর এ কারণে কৃষিশিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ এর বাজার ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন পরিকল্পনাকে আরো সৃষ্টিশীল ও সমণ্বিত হতে হবে।
একটি সোবার এগ্রো এন্ড ইকো ইন্ডাস্ট্রিজ প্রকাশনা।
আমাদের অন্যতম কৃষি প্রকল্প লামা এগ্রো ভিলেজে কৃষি জমি বরাদ্দ চলছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন