মাছে ভাতে বাঙ্গালী এখন নিত্যনতুন কৃষি উৎপাদনে সক্রিয়। আমাদের কৃষক সমাজের ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবি অনেকদিনের। আমরা সেই কৃষি কে হৃদয়ে লালন করি। আমরা জানি বাংলাদেশের মানুষ যতই প্রযুক্তি আর বিদেশী সংস্কৃতিতে মাতুক না কেন তার মূল যে মাটিতে সেখানে সে নিজেকে আকড়ে ধরে রাখবেই। তাই অনেক দূর এগিয়ে যেতে নিজের একমাত্র যে প্রধান কর্মসংস্থান এর ক্ষেত্র সেটিতে মনোনিবেশ প্রয়োজন।
দিনের পর দিন মাঠে, ঘাটে কাজ করে কৃষক তার ফসলি জমি থেকে আমাদের চালিকাশক্তি খাদ্য উৎপাদন করেন। তাই এই পেশা ও মানুষগুলোকে কখনই অবমূল্যায়ন করা যাবেনা। আমরা পর্যটনকে এগিয়ে নিতে চাই বার বার বলছি। আর এর অগ্রযাত্রায় কৃষি যখন সমণ্বিতভাবে সামনে আসবে তখন এ হবে এক বিপ্লব।
আগের কয়েক পর্বের লেখায় কিছু ভাবনার বিষয় ছিল যে পরিবেশ বিপর্যয় ইত্যাদি। তবে মূল যে বিষয় সেটি হল সব কাজের ই কোন না কোন প্রতিক্রিয়া আছে।সুতরাং এই ভারসাম্য রক্ষায় যা যা করণীয় তা করতে থাকা এবং পাশাপাশি কৃষি ও পর্যটন উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখাই এখন মূল লক্ষ্য।আমাদের ফসলি জমি ও পর্যটন নির্ভর এলাকাকে একত্রীকরণে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটন নির্ভর এলাকা যেমন টেকনাফ, রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, সিলেট, কুয়াকাটা ইত্যাদিতে কোথায় কোথায় এমন কৃষি নির্ভর পর্যটনের আয়োজনে সাজানো যায় তাই আমাদের পরিকল্পনা হওয়া দরকার। সাধারণ মানুষ যতই এই কৃষি ও পর্যটন ভিত্তিক ব্যবসায় বিনিয়োগ করবে ততই দেশের অর্থনৈতিক ও কৃষি অঙ্গনে ব্যাপক পরিবর্তনের হাওয়া লাগতে থাকবে। যা জাতীয় পর্যায়ে প্রত্যেকটা মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আমরা ধারণা করতে পারি।