বুধবার, ১১ মার্চ, ২০১৫

হৃদয়ে কৃষি ও পর্যটন

মাছে ভাতে বাঙ্গালী এখন নিত্যনতুন কৃষি উৎপাদনে সক্রিয়। আমাদের কৃষক সমাজের ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবি অনেকদিনের। আমরা সেই কৃষি কে হৃদয়ে লালন করি। আমরা জানি বাংলাদেশের মানুষ যতই প্রযুক্তি আর বিদেশী সংস্কৃতিতে মাতুক না কেন তার মূল যে মাটিতে সেখানে সে নিজেকে আকড়ে ধরে রাখবেই। তাই অনেক দূর এগিয়ে যেতে নিজের একমাত্র যে প্রধান কর্মসংস্থান এর ক্ষেত্র সেটিতে মনোনিবেশ প্রয়োজন।


দিনের পর দিন মাঠে, ঘাটে কাজ করে কৃষক তার ফসলি জমি থেকে আমাদের চালিকাশক্তি খাদ্য উৎপাদন করেন। তাই এই পেশা ও মানুষগুলোকে কখনই অবমূল্যায়ন করা যাবেনা। আমরা পর্যটনকে এগিয়ে নিতে চাই বার বার বলছি। আর এর অগ্রযাত্রায় কৃষি যখন সমণ্বিতভাবে সামনে আসবে তখন এ হবে এক বিপ্লব।

আগের কয়েক পর্বের লেখায় কিছু ভাবনার বিষয় ছিল যে পরিবেশ বিপর্যয় ইত্যাদি। তবে মূল যে বিষয় সেটি হল সব কাজের ই কোন না কোন প্রতিক্রিয়া আছে।সুতরাং এই ভারসাম্য রক্ষায় যা যা করণীয় তা করতে থাকা এবং পাশাপাশি কৃষি ও পর্যটন উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখাই এখন মূল লক্ষ্য।আমাদের ফসলি জমি ও পর্যটন নির্ভর এলাকাকে একত্রীকরণে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রয়োজন।


বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটন নির্ভর এলাকা যেমন টেকনাফ, রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, সিলেট, কুয়াকাটা ইত্যাদিতে কোথায় কোথায় এমন কৃষি নির্ভর পর্যটনের আয়োজনে সাজানো যায় তাই আমাদের পরিকল্পনা হওয়া দরকার। সাধারণ মানুষ যতই এই কৃষি ও পর্যটন ভিত্তিক ব্যবসায় বিনিয়োগ করবে ততই দেশের অর্থনৈতিক ও কৃষি অঙ্গনে ব্যাপক পরিবর্তনের হাওয়া লাগতে থাকবে। যা জাতীয় পর্যায়ে প্রত্যেকটা মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আমরা ধারণা করতে পারি।

মঙ্গলবার, ১০ মার্চ, ২০১৫

কৃষি ও পর্যটনঃ প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা পর্ব-১

আমরা যেমন দেখেছি যে কৃষি উন্নয়নের সাথে পর্যটনকে সম্পৃক্ত করতে পারলে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। তেমনি রয়েছে নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা। তবে আমাদের পর্যালোচনা চলবে। কারণ এটি একটি চলমান বিষয়। আমাদের দেশে যদিও এটি নতুন একটি ধারণা তবে বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে এটি মোটেও কোন নতুন ধারণা নয়। বরংচ আমেরিকা, কোস্টারিকা, জার্মান, নিউজিল্যান্ড, মালয়শিয়া  এর মত দেশগুলোতে ইকোট্যুরিজমের প্রচুর জনপ্রিয়তা রয়েছে। বছরের নির্দিষ্ট সময়গুলোকে তারা ইকো পর্যটনকে ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে উপভোগ করার জন্য নির্ধারিত করে রাখে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় মধ্য আমেরিকার দেশ কোস্টারিকায় কৃষি পণ্য উৎপাদনের মধ্যে রয়েছে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল, সব্জি ও কফি। কলা ও আনারস রপ্তানীতেও কোস্টারিকা দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এর ফলে আনারস ফলনের কারণে ব্যবহৃত কীটনাশকে ভূগর্ভস্থ পানি দূষণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। এছাড়াও পর্যটন উন্নয়নের জন্য সংরক্ষিত বনের কিছু অংশ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। তাহলে এটি একটি প্রতিবন্ধকতা ইকো পর্যটন ও কৃষির সম্মিলিত প্রয়াসে।

এমনকি দেশগুলোর অঢেল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মূল হল পর্যটনকেন্দ্রগুলো। তারা ইকোট্যুরিজম ব্যবস্থাপনায় অনেক এগিয়ে রয়েছে। জীববৈচিত্র্য বিপর্যয় রোধেও রয়েছে নানান কর্মসূচি। এর পরেও আবার কৃষিভিত্তিক অনেক উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। এখানেই প্রশ্ন থেকে যায় যে পর্যটন এর উন্নয়নে কৃষিকে সম্পৃক্ত করা টা আসলেই কতটা পরিবেশবান্ধব।
কারণ বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

প্রথমত, কৃষি নির্ভর প্রযুক্তি ও সার ব্যবহার করা ফলে পর্যটন নির্ভর এলাকার জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে কিনা

দ্বিতীয়ত, কৃষির প্রসারের ফলে প্রকৃতির অকৃত্রিম এলাকাগুলো কৃষি আওতায় এনে বৃক্ষ নিধন বা পরিবেশ অসংরক্ষিত হয়ে পড়ছে কিনা। এবং

তৃতীয়ত, পর্যটন নির্ভর এলাকায় লোক সমাগম বৃদ্ধির কারণে ময়লা, খোসা, আবর্জনার পরিমাণ বাড়বে সুতরাং সেগুলোর সঠিক ডাস্ট ম্যানেজমেন্ট হচ্ছে কিনা।


উপরোক্ত প্রতিবন্ধকতা গুলো কাটিয়ে বা কমিয়ে যদি কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয় তাহলে নিঃসন্দেহে এটি হবে ভিন্নধর্মী একটি চমৎকার প্রকল্প।
আমাদের আজকের এই লেখায় যে প্রতিবন্ধকতার উল্লেখ আমরা করেছি তা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানব। কারণ আমাদের প্রতিবন্ধকতা থাকলে সেগুলোকে সম্ভাব্য সমাধানের মাধ্যমে এগিয়ে গেলেই কৃষি ও ইকো পর্যটনের ‍উন্নয়ন সম্ভব। আগামী পর্বে আমরা সোবার এগ্রো এন্ড ইকো ইন্ডাস্ট্রিজের পদক্ষেপগুলো নিয়ে একটি প্রশ্নউত্তর লেখা দেয়ার চেষ্ট করব। যেখানে সোবার এর প্রকল্প লামা এগ্রো ভিলেজ এর আয়োজনে উপরোক্ত প্রতিবন্ধকতা বিষয়ে এই প্রতিষ্ঠান কি ভাবছে বা তাদের দায়িত্ব ও পরিকল্পনা কি সেটি জানব। এতে করে যেমন প্রকল্প বাস্তবায়নের সঠিক তথ্য ও স্বচ্ছতা প্রমাণ পাবে তেমনি পরিবেশ এর হুমকি না হয়ে সহযোগী প্রকল্প হিসেবে লামা এগ্রো ভিলেজের পরিচিতিও বাড়বে।

সোমবার, ৯ মার্চ, ২০১৫

পাহাড়ে যদি হয় কৃষি সম্ভার

অপার সম্ভাবনাময় অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশ। প্রকৃতির আনাচে কানাচে ছেড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অকৃত্তিম রূপরস। পাহাড়-নদী আর সবুজের সমারোহে ঘেরা বাংলার সম্পদ সুরক্ষিত রাখা ও যত্ন নেয়ার দায়িত্ব ও কর্তব্য আমাদের। আর সমতলে কৃষি সম্প্রসারণের পাশাপাশি যদি এই প্রাকৃতিক অকৃত্তিম দান পাহাড়েও কৃষি বিপ্লব ঘটানো যায় তাহলে এটি আমাদের জন্য অভাবনীয় সুফল বয়ে আনবে। 



বান্দরবান, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ জেলা। আমরা জানি প্রাকৃতিকভাবেই বান্দরবানের বৈশিষ্ট্য হল সমতলের চেয়ে এর জমি ও বসতভূমি অনেক উপরে। যারা এই জেলায় বসবাস করেন তারা আদিকাল থেকেই পাহাড়ে কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। তবে সমতলের চেয়ে পাহাড়ে এই কাজ অনেক বেশি চ্যলেঞ্জিং ও কষ্টসাধ্য। তাই সমতলেই আমরা কৃষি উৎপাদনের জন্য মনোযোগ দিয়ে এসেছি। কিন্তু বর্তমানে আমরা কৃষি ও পর্যটনকে একীভূত করে যে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রের স্বপ্ন দেখছি তা বাস্তবায়নের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ইতিবাচক।



বান্দরবান ছাড়াও বিভিন্ন পর্যটন নির্ভর পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে প্রয়োজন উপযুক্ত কৃষি ব্যবস্থাপনার। কৃষক সম্প্রদায় ছাড়াও সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদের পর্যটন ও কৃষি উন্নয়নের চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করবে। পাহাড়ে কৃষি সম্প্রসারণে ঐ এলাকার মানুষদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি কৃষিতে বিনিয়োগে উৎসাহী জনগোষ্ঠী তৈরি সম্ভব। বর্তমানে সোবার এগ্রো এন্ড ইকো ইন্ডাস্ট্রিজ এই লক্ষ্যে কৃষি জমি বরাদ্দ দিচ্ছে। যেখানে পাহাড়ে কৃষি জমিতে ফল, সব্জি, ডেইরী, পোলট্রি, মৎস ইত্যাদি কৃষি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে লক্ষ্য হল কৃষি সম্ভার ঘটানো।

Sober Agro & Eco Industries Limited@ 2015

শনিবার, ৭ মার্চ, ২০১৫

পর্যটন কি পারবে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে

আমরা জানি কৃষি ও পোশাক শিল্পের সমৃদ্ধ ভান্ডার নিয়ে বাংলাদেশ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর থেকে অনেকাংশে এগিয়ে রয়েছে। একদিকে উন্নয়নের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা ও অন্য দিক দিক দিয়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি। সব মিলিয়ে আমরা এক পা এগিয়ে যাই আর দু পা পিছাই। এমতাবস্থায় পর্যটন নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো কত দূর এ একটি প্রশ্ন থেকে যায়।



আমাদের দেশের নব্বই ভাগ মানুষ কোন না কোন ভাবে কৃষির সাথে জড়িত আর পর্যটন কে কৃষির সাথে সম্পৃক্ত করতে পারলে পর্যটন ও কৃষি দুটিই সমৃদ্ধ হবে। এখন এই কৃষি পর্যটন সম্পর্কে আমাদের ধারণা কতটুক স্বচ্ছ ও এর উন্নয়নে আমরা কিভাবে ভূমিকা রাখব এটিই এখন ভাববার বিষয়। বিগত পর্যটন বছরগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে বেশীরভাগ সময়ই পর্যটনের সময়গুলোতে রাজনৈতিক ও আকস্মিক দুর্ঘটনায় এর স্বাভাবিক আয় ব্যহত হয়েছে। তবে আশার কথা হল মানুষ ইন্টারনেট ও মিডিয়ার সহযোগীতায় পর্যটনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে।



বহুমাত্রিক শিল্প হিসেবে পর্যটন বিকাশের জন্য দীর্ঘমেয়াদী জাতীয় পরিকল্পনা, পর্যপ্ত পুঁজি বিনিয়োগ, আর্থিক ও কারিগরি সাহায্য সংগ্রহ, ভৌত ও কাঠামোগত সুবিধাদি স্থাপন, ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ও স্থাপনাসমূহের সংরক্ষণ, সম্ভাব্য পর্যটন স্থানসমূহ চিহ্নিত করে সংরক্ষণ, চারু ও কারু ‍শিল্পের লালন ও বিকাশ, বিদেশিদেরযাওয়া আসার পদ্ধতি সহজ করা, হস্তশিল্পের উন্নয়ন, বনাঞ্চল ও বন্য জীব জন্তুর সংরক্ষণ, বিমান বন্দর উন্নতকরণ, বৈদেশিক প্রচার ও বিপণন ইত্যাদির সমণ্বয় সাধন, ব্যক্তিগত পর্যটন ও সৃষ্টিশীল চিন্তার সমণ্বয়, পর্যটন কেন্দ্রে নিত্য নতুন প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার, উপযুক্ত ও প্রশিক্ষিত লোকবলের সংযোজন ইত্যাদির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।



অর্থাৎ পর্যটন উন্নয়নের পাশাপাশি বিশাল কাজ এর ক্ষেত্র তৈরি হবে এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এখন এটি কোন একার পদক্ষেপ নয়। বরংচ সর্ব স্তরের মানুষের সহযোগীতা ও প্রচেষ্টায় পর্যটন শিল্প কে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিতে হবে। আর এর মাধ্যমেই অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব। যা স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি দেশের জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক মুক্তিকে ত্বরাণ্বিত করবে।


লেখা

সোমবার, ২ মার্চ, ২০১৫

কৃষি সম্প্রসারণ ও বাজার ব্যবস্থাপনা

কৃষি নির্ভর দেশ বাংলাদেশ। আমাদের আবাদযোগ্য জমিতে উন্নত সার, বীজ ও জৈবকীটনাশক এর পাশাপাশি উন্নত কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। সমতলভূমিতে কৃষির ফলন বিস্তৃতির সাথে সাথে বাংলাদেশের চট্রগ্রাম বিভাগের উঁচু জমিতেও কৃষি ফলনের বিস্তার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণে একযোগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন বিএআরসি, ইউএনডিপি, এএফও সহযোগীতা করছে।


কৃষিশিল্পের সম্প্রসারণে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। কৃষিপণ্য, বাজার ব্যবস্থা, যাতায়াত ও কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার।
সংক্ষিপ্ত দিকগুলো বিস্তারিতভাবে দেখলে নিচের বিষয়গুলো প্রতীয়মান হয়-
  • যে পণ্যটি উৎপাদিত হবে সেটির বীজ বা চারা কৃষকের কোছে সুলভ মূল্যে ও সময়মত পৌঁছানো।
  • কৃষককে সঠিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ ও প্রযুক্তির ব্যবহারে শিক্ষা প্রদান।
  • উৎপাদিত পণ্যের বাজার সহজতর ও সুলভ ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। প্রয়োজনে দেশের বাহিরেও রপ্তানী করার সুব্যবস্থা করা।
  • উৎপাদিত পণ্যের ন্যয্যমূল্য কৃষকের হাতে পৌঁছানো।
  • পণ্য ও অন্যান্য কৃষিসামগ্রী প্রয়োজনের সময় পৌঁছাতে পারার জন্য সুষ্ঠু যোগাযোগ মাধ্যম ও পরিবহনের সুযোগ তৈরি করা।
  • বাজার থেকে উৎপাদিত কৃষি পণ্য টাটকা ও ভেজাল মুক্ত ভাবে ক্রেতার কাছে পৌঁছানো ও রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার বন্ধ করার ব্যাপারে পর্যাপ্ত মনিটরিং ও আইনানুগ ব্যবস্থাপনা।
  • কৃষি উৎপাদন থেকে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত তৈরিকৃত বর্জ্য সঠিক নিষ্কাশন ও পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।


কৃষি একদিকে যেমন একটি লাভজনক ক্ষেত্র তেমনি এর উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের চাহিদা পূরণের  পাশাপাশি বিদেশে কৃষি পণ্য রপ্তানী করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটানো সম্ভব। এছাড়াও পরিবেশ  ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় কৃষির ভূমিকা অপরিসীম। আর এ কারণে কৃষিশিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ এর বাজার ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন পরিকল্পনাকে আরো সৃষ্টিশীল ও সমণ্বিত হতে হবে।

একটি সোবার এগ্রো এন্ড ইকো ইন্ডাস্ট্রিজ প্রকাশনা।
আমাদের অন্যতম কৃষি প্রকল্প লামা এগ্রো ভিলেজে কৃষি জমি বরাদ্দ চলছে।

শনিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

সভ্যতার বিকাশে পর্যটন

সভ্যতা পৃথিবীর ইতিহাসে মানুষের সমাজের জন্য একটি পর্যায়ক্রমিক অর্জন। সময়ের সাথে সাথে অনেক সভ্যতাই বিলীন হয়ে যায় কালের গর্ভে। এমন অনেক সভ্যতার নামই আমরা জানি। অনেক প্রত্নতাত্বিক নিদর্শনের উপস্থিতি সেই সভ্যতার অস্তিত্ব প্রমাণ করে। আর সভ্যতা টিকে থাকে না একে টিকিয়ে রাখতে হয়।

বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতির ইতিহাস অনেক ঐশ্বর্যমন্ডিত। আমাদের আবহমান কালের গ্রাম বাংলা, আমাদের সংস্কৃতি,  উৎসব, আয়োজন অনেক রঙিন এবং অনেক আমোদ-প্রমোদে ভরপুর। কিন্তু শহর নগর, বিদেশী সংস্কৃতির প্রভাবে আমরা হারাতে বসেছি আমাদের ঐতিহ্য ও সভ্যতার অনেক অংশ কে। আমরা এটাও জানি সভ্যতা বিবর্তিত হয়। অন্য সভ্যতার সাথে মিশে এর বিবর্তন ঘটে। তাই হয়ত এক সময় নতুন হওয়া এই বিবর্তনের ধারায় পরিবর্তিত হবে আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতি। তবু নিজ সভ্যতাকে আরো সমুজ্জ্বল রাখতে আমাদের প্রচেষ্টা তো থাকবেই। তাছাড়া মানবতা রক্ষাকারী সভ্য আচরণ গুলোর চর্চা নিশ্চয়ই আমরা বাড়াতে পারি।একদিকে যেমন প্রকৃতি রক্ষার প্রচেষ্টা তেমনি সভ্যতার চর্চা ও বিকাশে আমাদেরকেই হতে হবে বদ্ধপরিকর।যেমন আমাদের দেশের তাতঁ শিল্প,  মৃৎ শিল্প, নকশী কাঁথা ইত্যাদি সভ্যতার অংশ।  



আর এরই ধারাবাহিকতায় পর্যটন হতে পারে একটি অন্যতম মাধ্যম যা সভ্যতার শুধু মাত্র বিকাশই ঘটাবে না বরং আরো শক্তিশালী করবে এবং এর ব্যাপক চর্চা হবে আমাদের যুব সমাজে, পর্যটন নির্ভর এলাকায়, সাধারণ মানুষের মধ্যে।এই অন্যরকম এক নীরব মিছিলের মত হবে এই সভ্যতা রক্ষার যাত্রা। আর তাই পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে হতে হবে সংযমী।  ‍শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনই পর্যটন শিল্প উন্নয়নের মূল উদ্দেশ্য না হয়ে এটি একটি সভ্যতার হাতিয়ার হিসেবে আমরা ব্যবহার করতে পারি।

প্রথমত, আমরা আমাদের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে আমাদের গ্রামবাংলা নির্ভর আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারি। প্রকৃতির মাঝে বেড়ে ওঠা মানুষদের জন্য নিরাপদ ও সুবিধাপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারি।দ্বিতীয়ত, মানুষকে বিশাল অট্টালিকা কিংবা ফাইভ স্টার মান এর প্রতি আকৃষ্ট না করে সাধারণ অথচ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারি।তৃতীয়ত, পর্যটন এর অর্থ যেন তাদের কাছে নতুন রূপে পরিগণিত হয় সেই চেষ্টা করতে পারি।


উপরোক্ত বক্তব্যগুলো বাস্তবায়ন অবশ্যই কষ্টসাধ্য। কারণ আপনি যখন বিলাসিতার সংগা পরিবর্তন ঘটাবেন সেটি অতি সহজে মানুষের নিকট গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। সভ্যতা ধরে রাখার লড়াই টা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। সেই সভ্যতাকে আরো দূরে নিয়ে যেতে তাই আমরা সভ্যতার বিকাশে পর্যটন নিয়ে আপনার পাশে আছি, ভাবুন তো আপনি আছেন কি আমাদেরই সাথে। 

শুক্রবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

রূপসাগর ট্যুরিস্ট ভ্যালী ও ইকো পর্যটনের উন্নয়ন পরিকল্পনা

ইকো শব্দটি শোনার সাথে সাথে যে বিষয়টি আমাদের কাছে আসে সেটি হল পরিবেশবান্ধব কিছু একটা। পরিবেশ এর বৈশিষ্ট্য রক্ষা করে যে পর্যটন গড়ে ওঠে সেটি হল ইকো ট্যুরিজম। তবে ইকো ট্যুরিজম ধারণাটি ব্যাপক ও বিস্তৃত।  বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ইকো পর্যটন এর প্রসার ও প্রচার থাকলেও আমাদের দেশে এটি এখনও নতুন একটি ধারণা মনে করা হয়। একই সাথে এটাও সঠিক যে দেশে কিছু পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে যারা ইকো পর্যটনকে বাস্তবায়ন করছে ঠিকই কিন্তু তারা এতটাই ব্যয়বহুল সেবা দিচ্ছে যা সাধারণ মানুষের নাগালের একেবারে বাইরে।
 
তাহলে এখন প্রশ্ন থেকে যায় যে একটা নির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষের কথা ভেবে যদি এই নতুন ধারণাকে বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে তা কতটা যুক্তিসঙ্গত। আমরা যেমন একদিকে পর্যটন উন্নয়নের কথা ভাবছি আরেকদিক দিয়ে এই সেবার বাজারমূল্য সাধারণ মানুষের আর্থিক সীমানার বাইরে নিয়ে যাচ্ছি। তাহলে ভেবে দেখতে হবে এটি আসলে সামগ্রিক অর্থে পর্যটন উন্নয়ন কিনা।
এই ক্ষেত্রে রূপসাগর ট্যুরিস্ট ভ্যালীলামা এগ্রো ভিলেজের প্রকল্প পরিকল্পনা একেবারে নতুন এবং যুগোপযোগী। কারণ এই প্রকল্পে একদিক থেকে যেমন পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দ্বার উন্মোচন হচ্ছে আরেকদিক থেকে সাধারণ মানুষকে এই পর্যটন উন্নয়নের সহায়ক ভূমিকা রাখতে উদ্বুদ্ধ করছে। সেবার মান অক্ষুণ্ন রেখে ইকো পর্যটনের সেবা যেন সব মানুষ উপভোগ করতে পারে সেই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষি জমি ব্যবস্থাপনা , পরিবেশবান্ধব উপকরণের ব্যবহার, পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষামূলক কর্মসূচী, এলাকাবাসীর সত্বঃস্ফূর্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং একই সাথে উন্নত ও বিদেশী কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার এই প্রকল্পদ্বয়কে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।
 
রূপসাগর ট্যুরিস্ট ভ্যালী টেকনাফে অবস্থিত। এই প্রকল্পের একদিকে সুবিশাল সমুদ্র এবং অন্যপাশে পাহাড়। অনিন্দ্য সুন্দরের হাতছানি। প্রকৃতির অকৃত্তিম সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য রিসোর্ট মালিকানা বরাদ্দ চলছে। আর মালিকানা অতি অল্প মূল্যে বিক্রয় করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

কৃষি ভিত্তিক পর্যটনে বিনিয়োগ ও ব্যবাসয়িক লাভ

বাংলাদেশের একটি বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হল কৃষি। কৃষি উন্নয়নে গ্রাম বাংলার সাধারণ কৃষক থেকে শুরু করে কৃষিবিদ পর্যন্ত বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে। তবে সব কাজ আর পরিশ্রম এর মূল্যায়ন তখনই সম্ভব হচ্ছে যখন এটি বাজারে বিক্রির মাধ্যমে ক্রেতা কিনে নিচ্ছে অথবা দেশের বাইরে রপ্তানী হচ্ছে।  আমরা ব্যবসায় বাণিজ্যের উন্নয়নে যত কৃষি নির্ভর হব ততই আমাদের স্বাবলম্বীতা বৃদ্ধি পাবে। জনপ্রতি আয় বাড়বে।  কৃষি বাণিজ্যের সম্প্রসারণ আরো বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এজন্য যেমন উন্নত চাষ পদ্ধতি ও প্রযুক্তি সংযোজন প্রয়োজন সেই সাথে নতুন নতুন সৃষ্টিশীল ধারণা ও এর বাণিজ্যিক প্রয়োগ করতে হবে।


একই সাথে পর্যটন  একটি লাভজনক ব্যবসায় ক্ষেত্র। পর্যটন শিল্পের বিস্তারে বিভিন্ন পর্যটন সমৃদ্ধ স্থানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ সুবিধা। বাংলাদেশের এমন কিছু দর্শনীয় ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যমন্ডিত স্থানে একই সাথে পর্যটন ও কৃষি সম্প্রসারণ সম্ভব। তার মধ্যে উল্খেযোগ্য হল রাঙামাটি, বান্দরবান, টেকনাফ, সেইন্ট-মার্টিন।

কৃষি ও পর্যটনকে একীভূত করে ব্যবসায় বাণিজ্যের প্রসার ঘটালে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এটি ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করবে।

প্রথমত,  যে এলাকাকে কৃষি ও পর্যটনের আওতায় আনা হবে সে এলাকাবাসীদের কর্মসংস্থান এর সুযোগ তৈরি হবে।
দ্বিতীয়ত, সুবিধাভোগী বা স্টেকহোল্ডারগণ একই সাথে পর্যটন ও কৃষিপণ্য থেকে লাভ এই দুটিই উপভোগ করতে পারবেন। অর্থাৎ একদিকে বিনোদন অন্যদিকে কৃষিতে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে লভ্যাংশ পাওয়ার সুযোগ।
তৃতীয়ত, উৎপাদিত কৃষি পণ্য বিদেশে রপ্তানী করার মাধ্যমে বাজার তৈরি ও ব্যবসা সম্প্রসারণ।

উপরোক্ত ইতিবাচক অর্জন ছাড়াও দেশের ভিতরে ও বাইরে ভাবমূর্তি তৈরি করা সম্ভব। আর এই লক্ষ্য অর্জনের পথে কাজ করছে সোবার এগ্রো এন্ড ইকো ইন্ডাস্ট্রিজ। এটি বান্দরবানের লামায় পর্যটন ও কৃষিকে একীভূত করে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে।

রবিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

দেশে দেশে কৃষি ভিত্তিক পর্যটন ও সোবার এগ্রো

আমরা পর্যটনের উন্নয়নে কৃষি কে সম্পৃক্ত করতে চাই। কারণ একদিকে যেমন পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ জড়িত তেমনি দেশের কৃষিজ পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণে পর্যটন ভিত্তিক এলাকাগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কৃষি ভিত্তিক পর্যটন বাংলাদেশে একটি নতুন ধারণা মনে হলেও সারা পৃথিবীতে এর বহুল ব্যবহার রয়েছে। বিভিন্ন দেশে পর্যটনের পাশাপাশি কৃষি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সমারহ দেখা যায়।এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নিউজিল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, পর্তুগাল, নেপাল, জ্যামাইকা,  উগান্ডা, আয়ারল্যান্ড, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি।


লাক্সারী বিসি হোম, কানাডা
কানাডার নিউটন ক্রস রোডে অবস্থিত এই অপার সৌন্দর্য্যমন্ডিত কৃষি নির্ভর পর্যটন কেন্দ্রটি কৃষকদের জীবন যাপন সহ পর্যটকদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করেছে। এখানে  একদিকে পর্যটকরা যেমন ঘুরতে পারবে তেমনি টাটকা শাক-সব্জি খেতে পারবে।



কৃষক মার্কেট, জ্যামাইকা
জ্যামাইকাতে কৃষকদের সুবিধার্থে পণ্য উৎপাদনের সাথে সাথে বাজারজাতকরণে এই মার্কেট। পর্যটকদের সুবিধার জন্য পর্যটন কেন্দ্রের পাশেই এর অবস্থান।



কারানগ্রেজো, কেবুমেন, সেন্ট্রাল জাভা, ইন্দোনেশিয়া
 ইমানিয়ান গুনাওয়ান নিজের এগ্রো ইকো টুরিজম প্রজেক্টে কাজ করছে।



এ্রগ্রোে ইকো ট্যুরিজম, কুইবেক
সেন্টার দো কুইবেক নামের এই এগ্রো ইকো ট্যুরিজমে ভেড়া সহ বিভিন্ন গবাদী পশু পালন হয়ে থাকে। একই সাথে পর্যটকদের জন্য রয়েছে থাকার সুব্যবস্থা।


হার্দেদ দঁ বারাদাস দঁসেরা, পর্তুগাল
প্রায় ৮০০ হেক্টর জায়গা জুড়ে এই এগ্রো ইকো পর্যটন সেন্টারটি পর্তুগালের লিসবন থেকে এক ঘন্টা দূরত্বে গ্রান্ডোলা হিলে অবস্থিত। পর্যটন সেবাদানের পাশাপাশি এটি একটি ভেড়া উৎপাদন ও প্রজনন কেন্দ্র।




 টুবাগুয়া ইকো রিসোর্ট , ডোমিনকান রিপাবলিক

 টুবাগুয়া ইকো রিসোর্টের একটি লাক্সারিয়াস রুম।
 


এভাবে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এগ্রো ইকো পর্যটন এর ধারণা ও ব্যবহার। বাংলাদেশেও বেশ কিছু ইকো ভিত্তিক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। তবে সোবার এ্রগ্রো এন্ড ইকো ইন্ডাস্ট্রিজ কৃষি ভিত্তিক পর্যটনের উন্নয়নে কাজ করছে। যা বাংলাদেশের অপরুপ সৌন্দর্য্যের সমারোহ বান্দরবানের লামায় অবস্থিত। এটি শুধুমাত্র পর্যটন কেন্দ্র বা কৃষি ক্ষেত্র সম্প্রসারণ নয়, এটি কৃষিতে জনসাধারণের বিনিয়োগ ও আগ্রহ বৃদ্ধির একটি কার্যক্রম।

শনিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প

পৃথিবীর অন্যতম ‍বৃহৎ ব-দ্বীপ বাংলাদেশ একদিকে যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের আঁধার তেমনি বৈচিত্র্যপূর্ণ পর্যটন সম্ভাবনায় ভরপুর। পৃথিবীর দীর্ঘতম নিরবিচ্ছিন্ন বালুকাময় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, সমুদ্র বেলাভূমি কুয়াকাটা, সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন, নৈসর্গিক সৌন্দর্যমন্ডিত সিলেটের চা- বাগান, বান্দরবানের বগা লেক, রাঙামাটির পাহাড় আর লেক এর মেলবন্ধন, দেশের একমাত্র কোরাল দ্বীপ সেইন্ট-মার্টিন ছাড়াও অসংখ্য নদ-নদী, বন, পাহাড়, হ্রদ, হাওড়-বাওড় প্রাকৃতিক পর্যটন আকর্ষণীয় স্থানসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।


বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতি, ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্প, হস্তশিল্প, লোকজ, যাত্রা, পুতুল নাচ, মেলা, হাট, বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসব, নান রকম মুখরোচক খাবার, পিঠা-পুলি এই পর্যটক আকর্ষণে যোগ করেছে ভিন্ন মাত্রা।
আমাদের দেশের এই অভাবনীয় সম্পদকে সুপরিকল্পিত কর্ম-কৌশল ও সমণ্বিত কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে উপভোগ্য ও সহজতর করতে এই শিল্পের আরো বিকাশ প্রয়োজন।


বাংলাদেশের এই উল্লেখযোগ্য স্থান সমূহে পর্যটক বৃদ্ধির জন্য এই শিল্পের উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সমগ্র পৃথিবীতে প্রশংসা কুড়াতে পারে যদি এর সঠিক যত্ন নিয়ে বিদেশী পর্যটকদের সামনে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়। স্থানীয় লোকবল বৃদ্ধি ও পর্যটন সম্পৃক্ততা এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে এই কাজ অনেকটাই সহজতর হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতায় পর্যটন এলাকা সমূহ পরিস্কার রাখা ও নিরাপদে পর্যটকদের চলাচলের ব্যবস্থা ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের আরো বেশী আকৃষ্ট করবে।


অমিত সম্ভাবনাময় এই পর্যটন শিল্পের  আকর্ষণ বিশ্বজনীন জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারে। েএতে অন্যান্য দেশের মত বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ অন্যতম প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী শিল্পে পরিণত করে এই পর্যটন সেবা খাত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।



লেখা-
এডমিন

শুক্রবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সোবার এগ্রো ও ইকো ইন্ডাস্ট্রিজের ভূমিকা

বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই পর্যটন বিশ্বজনীন বিস্তৃতি লাভ করে। জাতিসংঘ ১৯৩৯ সালে ’পর্যটন’ শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করে। পরবর্তীতে জাতিসংঘের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সর্বসম্মতিক্রমে ১৯৭৫ সোলে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংগঠন ‘বিশ্ব পর্যটন সংস্থা’ ( UNWTO) গঠন করে। বাংলাদেশ এ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। সুতরাং বিশ্বের অর্থনৈতিক , মানবিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ক্রমবর্ধমান হারে ভূমিকা রাখছে।



এই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক পর্যটন শিল্প গড়ে উঠেছে। সোবার এগ্রো এন্ড ইকো ইন্ডাস্ট্রিজ এই বহুমাত্রিক পর্যটনের অন্যতম শিল্প কৃষিভিত্তিক পর্যটন উন্নয়নে কাজ করছে। একদিকে যেমন কৃষি উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই তেমনি এই কৃষি কে পর্যটনের সাথে একীভূত করার মাধ্যমে একটি দ্বিমাত্রিক অর্থনৈতিক প্রসার সম্ভব হয়েছে।

সোবার এগ্রো এন্ড ইকো ইন্ডাস্ট্রিজ বর্তমানে বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার লামায় এবং কক্সবাজার জেলার টেকনাফে দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। প্রকল্প দুটির নাম হল ’লামা এগ্রো ভিলেজ’ ও ‘রূপসাগর ট্যুরিস্ট ভ্যালী’।


পর্যটনকে সাধারণ মানুষের বিনোদনের মূল উৎসে পরিণত করতে প্রকল্পে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার আয়োজন করা হয়েছে। কৃষি ভিত্তিক আয়োজন সংযোজন করায় বিনোদনের পাশাপাশি এই প্রকল্পে অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে সুদমুক্ত বাণিজ্য সম্প্রসারণ সম্ভব। জমি উন্নয়ন ও বাণিজ্য সম্পর্কিত সকল সহযোগীতা সোবার কোম্পানী দিচ্ছে।

বিস্তারিত বিজ্ঞাপনে দেখুন: 

Lama Agro Village- Bandarban


jvgv G‡MÖv wf‡jR- GKwU K…wl wfwËK ch©Ub †K›`ª| GwU evsjv‡`‡ki ev›`ievb †Rjvi jvgvq Aew¯’Z| eZ©gvb ch©Ub wkí‡K Av‡iv GKavc GwM‡q wb‡Z †mvevi G‡MÖv GÛ B‡Kv BÛvw÷ªR Gi D‡`¨v‡M GLv‡b cÖvq 4000 GKi RvqMv Ry‡o K…wl cY¨ Drcv`b, e¨e¯’vcbv I wecYb Gi cwiKíbv MÖnY Kiv n‡q‡Q|
evsjv‡`‡ki bvMwiKMY GB cÖK‡í RvqMv µq K‡i K…wlRvZ c‡Y¨i Dci cÖwZ eQi jf¨vsk †fvM Ki‡Z cvi‡eb| GQvovI cÖK‡íi ch©Ub †Kw›`ªK Av‡qvR‡b Ask wb‡Z cvi‡eb| cÖK‡íi Av‡qvRbmg~n nj-

K. K…wl wfwËK Av‡qvRb
L. ch©Ub †Kw›`ªK Av‡qvRb

K. K…wl wfwËK Av‡qvRb
evsjv‡`‡ki A_©‰bwZK Dbœqb I e¨emvq cÖmvi‡Yi Ges mvaviY gvbyl‡K GB e¨emvq wewb‡qv‡M DrmvwnZ Ki‡Z jvgv G‡MÖv wf‡j‡R Abb¨ GB Av‡qvRb nj K…wl cY¨ Drcv`b| my`gy³ evwYR¨ M‡o †Zvjvi cwiKíbvq GLv‡b Rwg e¨e¯’vcbvi KvR ïiæ n‡q‡Q| eZ©gv‡b K…wl Rwg eivÏ Pj‡Q| GKRb ‡µZv me©wb¤œ 500 kZK RvqMv wK‡b K…wl‡Z wewb‡qvM Ki‡Z cvi‡eb|
K…wl Drcvw`Z c‡Y¨i g‡a¨ D‡jøL‡hvM¨ nj-
  • ·        dj I mwâ 
  • ‡cvjwUª
  • †WBix I
  • grm Pvl|



Dc‡iv‡jøwLZ cY¨ mg~‡ni Rb¨ Riæix K…wl cÖhyw³ we‡`k †_‡K Avg`vbx Kiv n‡e| Avg`vbx K…Z †`kmg~n nj- nj¨vÛ, Pxb, Rvg©vb|

GQvovI Rwg‡Z Drcvw`Z cY¨ mg~n we‡`‡k ißvbx Kiv n‡e| ißvbxK…Z †`k mg~n nj- wm½vcyi, ga¨cÖvP¨|
Drcv`b †_‡K ißvbx  Ges A_© Av`vb-cÖ`vb †mvevi G‡MÖv GÛ B‡Kv BÛvw÷ªR Gi e¨e¯’vcbvi gva¨‡g gwbUwis Kiv n‡e| GB µqK…Z Rwg †_‡K cÖwZeQi cÖvq ৬০ থেকে ৭০ হাজার UvKv Av‡qi m¤¢vebv _vK‡Q| evRvi g~j¨ I K…wl c‡Y¨i mieiv‡ni Dci wbf©i K‡i Avq e„w× ev n«vm n‡Z cv‡i|

K…wl m¤úwK©Z †h myweavmg~n jvgv G‡MÖv wf‡j‡Ri m`m¨MY †fvM Ki‡Z cvi‡eb Zv nj-
  • kZK cÖwZ gvÎ 1500/- UvKvq me©wb¤œ 500kZK K…wl Rwgi gvwjKvbv
  • jvgv G‡MÖv wf‡jR KZ…K K…wl cY¨ Drcv`b, evRviRvZKiY I gwbUwis Gi e¨e¯’vcbv
  • N‡i e‡m eQ‡i cÖvq ৬০ থেকে ৭০ হাজার UvKv Avq ( AvqK…Z A_© Rwgi cwigvY, c‡Y¨i evRvig~j¨ I mvwe©K cwiw¯’wZi Dci wbf©i K‡i e„w× ev n«vm n‡e|)

L. ch©Ub †Kw›`ªK Av‡qvRb
evsjv‡`‡ki ch©Ub wk‡íi Dbœq‡b eûgvwÎK ch©Ub myweavi cwiKíbv miKvi MÖnY K‡i‡Q| ZviB avivevwnKZvq ch©UK Ges m`m¨‡`i Rb¨ ev›`iev‡bi jvgvq †mvevi G‡MÖv GÛ B‡Kv BÛvw÷ªR wb‡q Avm‡Q wek¦gv‡bi ch©Ub cwiKíbv| jvgvi cÖvK…wZK †mŠ›`h©¨‡K ch©UK‡`i Rb¨ Dc‡fvM¨ Ki‡Z Ges GKB mv‡_ cwi‡ek wech©q iÿvq Avgv‡`i e¨e¯’vcbv wUg KvR Ki‡Q| e¨e¯’vcbvi Av‡qvR‡b cÖ¯ÍvweZ ‡mev mg~‡n _vK‡Q-
  • ·         ivwÎ hvc‡bi Rb¨ wfjv ev wi‡mvU©
  • †i÷z‡i›U
  • B‡Kv w_g cvK©
  •  ¯úv
  • myBwgs cyj
  • B›Uvi‡bU ms‡hvM/IqvB-dvB myweav
  • GwUGg ey_
  •  UªvBevj kc
  • jwÛª GÛ wK¬wbs
  •  cÖvBgvix wK¬wbK
  • DbœZ wmwKDwiwU e¨e¯’v
  •  24 N›Uv wiwmckb
  • Kbdv‡iÝ iæg
  • AvBmµxg cvj©vi
  • cwi‡ek I cwi”QbœZv iÿvq we‡kl gwbUwis
ch©Ub m¤úwK©Z †h myweav mg~n jvgv G‡MÖv wf‡j‡Ri m¤§vwbZ m`m¨MY †fvM Ki‡Z cvi‡eb Zv nj-
  • ·        eQ‡i `yÕevi cÖK‡íi wfjvq †eov‡bvi my‡hvM
  • cÖK‡íi Ab¨vb¨ myweavmg~‡n 40% ch©šÍ Qvo
  • hvZvqvZ mye¨e¯’v
  • wd« ågY MvBW
Ab¨vb¨ myweav mg~n nj-
  • ·        ‡mvevi cwiev‡i AvRxeb m`m¨c` jvf 
  • ‡mvevi G‡MÖv GÛ B‡Kv BÛvw÷ªR Gi Ab¨vb¨ cÖKí mg~‡n myweav †fvM Kivi wbðqZv


‡mvevi cwiev‡ii Mwe©Z m`m¨ †nvb| my`gy³ evwYR¨ Mo–b|
mf¨Zvi weKv‡k ch©Ub|
GKwU ‡mvevi cwiKíbv|

Avgv‡`i mv‡_ †hvMv‡hvM-
Mobile: 01790890271
Web: soberproperties.page4.me